সময়ের জনমাধ্যম

কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশনের অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ১২৪ অবৈধ অভিবাসী

Last Updated on 3 weeks by zajira news

সজিব হাসান, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের অন্যতম ব্যস্ত পাইকারি শপিং মল ‘জিএম প্লাজা এবং ‘হাজী তাইব হোলসেল সেন্টারে’ এক সমন্বিত অভিযানে ১২৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগ। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশিসহ পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন।

কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সওপি ওয়ান ইউসুফ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, অভিবাসন দফতরের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু বিদেশি নাগরিক জরুরি নির্গমন পথ এবং লিফট ব্যবহার করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই অভিযানে কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের সাথে মালয়েশিয়ার কোম্পানি কমিশন (এসএসএম), কুয়ালালামপুর অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় মন্ত্রণালয় (কেপিডিএন) এবং কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল) এর কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ওয়ান মোহাম্মদ সওপি ওয়ান ইউসুফ আরও জানান, অভিযানে মোট ২০৫ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর মধ্যে বৈধ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৫৯ বছর বয়সি।

অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা, বিদেশি কর্মীর পাসের অপব্যবহার এবং অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতির মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়।

আটকদের বিরুদ্ধে বৈধ নথিপত্র ও ভ্রমণ পাসের অভাব এবং অতিরিক্ত সময় অবস্থান করার দায়ে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের ধারা ৬(১)(সি) এবং ১৫(১)(সি) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটকদের মধ্যে একজন বিদেশি জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, ‘আমার পাসপোর্ট আর ভিসা বাসায় আছে, আনতে ভুলে গেছি। আমি শুধু ঘুরতে এসেছিলাম এখানে আমাকে ছেড়ে দিন।’ আটক ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেন, তিনি একজন এজেন্টকে ৬ হাজার রিঙ্গিতের বেশি অর্থ দিয়ে মাত্র তিন মাস আগে মালয়েশিয়া এসেছেন এবং এখনও বেকার।

এই সমন্বিত অভিযানের অংশ হিসেবে ডিবিকেএল লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য ছয়টি বিভিন্ন অপরাধের জরিমানা জারি করেছে এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ দিয়েছে।

এছাড়া, কেপিডিএন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য ট্যাগিং সংক্রান্ত সাতটি অপরাধের জন্য মোট সাড়ে ৬ হাজার রিঙ্গিতের জরিমানা জারি করেছে। এছাড়াও তারা ১১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র পরীক্ষা করে ২৫টি অপরাধ নথিভুক্ত করেছে যার জন্য জরিমানা হতে পারে ৫০০ রিঙ্গিত থেকে ৩০ হাজার রিঙ্গিত।