Last Updated on 9 months by zajira news
নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। বান্দরবানে অস্ত্র ও ব্যাংক লুট হয়েছে। কিন্তু সরকার স্পষ্ট করে বলতে পারছে না কারা এটার সঙ্গে জড়িত। যখন কোনো দোষ চাপাতে হয়, তখন জঙ্গি খুঁজে বের করে। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর।
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, কারাগারে নির্যাতিতদের জন্য দোয়া এবং আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও ইফতার মাহফিল উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দেশের পানি সমস্যা, সীমান্ত সমস্যা নিরসন করতে পারেনি সরকার। কিন্তু ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে দখলদার আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকামী অনেক তরুণ-যুবককে হত্যা করেছে। তাদের অত্যাচার-নির্মমতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। পুলিশ অনেকের বাড়িতে রেইড দিয়েছে। কাউকে না পেয়ে স্ত্রী, বোন, মা কিংবা সন্তানকে তুলে নিয়ে গেছে। তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। আজকে কারও মনে কিন্তু হাসি নেই। অনেককে সাজা দিয়ে সর্বস্বান্ত করেছে। আমাদের যেসব ভাই, সহযোদ্ধা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন আমরা তাদেরকে গৌরবের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। যে জায়গায় তারা ন্যায়বিচার পাবেন। আজকে কত শিশু তার বাবাকে ভিক্ষা চায়। তবে মজলুমের অশ্রুধারা কখনো বৃথা যেতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অপকীর্তির কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাই না। তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ। দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র সব ধ্বংস করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব খাত ধ্বংস করেছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ একাধিপত্য ও ভয়াবহ রাজত্ব চালাচ্ছে। এখন বুয়েট বাকি আছে। সেখানেও হিংস্র থাবা বসিয়েছে। অথচ বুয়েটে কিছুটা হলেও জ্ঞানের চর্চা হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অ্যাবর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী আ ন হ আকতার হোসেন, অ্যাবের মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিগত আন্দোলনে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্য ৪০ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়।