Last Updated on 1 year by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে একটি কনসার্টে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অন্তত ৫০ জন অ্যাম্বুলেন্সের ক্রু ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে আগুন জ্বলছে এবং ভেন্যুর উপরে কালো ধোঁয়া উড়ছে।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলছে, পাঁচজনের একটি দল এই হামলায় জড়িত। তারা ক্রোকাস কনসার্ট হলে গুলি চালিয়েছে এবং বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা ছদ্মবেশ ধারণ করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হামলা চালায়। রাশিয়ার আরেক সংবাদ সংস্থা তাস বলছে, ওই কনসার্ট হলে এখনো অনেক লোক আছেন এবং সেখানে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে সেখানে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
রয়টার্সের ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার পর আগুনের শিখা আকাশে লাফিয়ে উঠছে এবং অনুষ্ঠানস্থলের ওপরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
রাশিয়ান মিডিয়া ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে এবং এমন খবরও পাওয়া গেছে যে, কিছু বন্দুকধারী ভবনের কোথাও ব্যারিকেড দিয়ে নিজেদের আটকে রেখেছে। ‘পিকনিক’ নামের ব্যান্ডের একটি কনসার্টে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘হঠাৎ আমাদের পেছনে গুলির শব্দ শোনা গেল। ব্যাপক গুলিবর্ষণ – আমি জানি না ঠিক কি। ’ ‘গুলিবর্ষণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক হুড়োহুড়ি শুরু হয়, সবাই দৌড়ে এসকেলেটরের দিকে চলে যায়। এসময় সবাই চিৎকার করছিল, সবাই দৌড়াচ্ছিল। ’
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, আজকে শপিং সেন্টার ক্রোকাস সিটিতে এক ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি নিহতদের প্রিয়জনদের জন্য দুঃখিত। ’
রয়টার্স বলছে, রাশিয়া বিমানবন্দর এবং স্টেশনগুলোর পাশাপাশি ২ কোটিরও বেশি লোকের বিশাল শহুরে এলাকা তথা রাজধানী মস্কোজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও জনসমক্ষে এই হামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি ‘রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা’। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ‘সমস্ত বিশ্ব সম্প্রদায় এই ভয়ঙ্কর অপরাধের নিন্দা করতে বাধ্য। মানুষকে বাঁচানোর জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।