সময়ের জনমাধ্যম

আ.লীগের ডাকা কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কঠোর হুঁশিয়ারি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম- ফাইল ছবি

Last Updated on 5 days by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো আগামীকাল রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর জিরো পয়েন্টে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তা কঠোরভাবে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ করার কোনো সুযোগ নেই।

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের কোনো প্রচেষ্টাকে বরদাশত করবে না বলে জানান তিনি।

এদিকে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়।

এর আগে গত শুক্রবার শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজনকে দলীয় নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি হাতে মিছিল বের করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অডিওতে নূর হোসেন দিবসে নেতাকর্মীদের মিছিল করতে বলতে শোনা যায়। অডিওতে বলা হয়, মিছিলে তাদের হাতে ট্রাম্পের ছবি থাকবে। এতে যদি কেউ যদি বাধা দেয়, কোনো হামলা করে, তাহলে তো সেটা ট্রাম্পের ছবিতে হামলা হবে। সেই ছবি তোলার জন্য আলাদা লোক থাকবে। তখন সেই হামলার ছবি আমি ট্রাম্পের কাছে পাঠাবো। ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাধা দেওয়ার ছবি ট্রাম্পকে পাঠিয়ে বলা যাবে দেখো ইউনূস সরকার কি করছে! সবচেয়ে বড় স্বৈরাচার তো ইউনূস। ২৫০ জন এসআইয়ের (ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর) চাকরি দিলো না, তাদের বের করে দিলো।

তিনি আরও বলেন, মিছিলে ভালো লোক জমায়েত যেন হয়, সে ব্যবস্থা করবা। মিছিলে নূর হোসেনের ছবি থাকবে। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লেখা প্লেকার্ড রাখবা। আমাদের অনেক ঘরবাড়ি, দোকান-পাট পোড়ানো হয়েছে। এর তথ্য বের করতে হবে। আমরা সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় করে নেব।